The Origin Of Science -(বিজ্ঞানের উৎপত্তি) পর্ব-২ - জীবন গড়ি প্রযুক্তির সুরে ♫

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

The Origin Of Science -(বিজ্ঞানের উৎপত্তি) পর্ব-২

The Origin Of Science -(বিজ্ঞানের উৎপত্তি) পর্ব-২

Share This
আজ যে পশ্চিমা দুনিয়া বিজ্ঞানের জয়গান করে তার মুলে কি ছিল?  নাস্তিকতা বিজ্ঞানের উপর ভরে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রতি আঙ্গুলি তুলছে, সেই বিজ্ঞান কার দান কোথা থেকে এল?  তা জানতে ধারা-বাহিকভাবে লেখা ৪ টি পর্বে The Origin Of Science -(বিজ্ঞানের উৎপত্তি) পড়ুন। লেখাটি ইনফোটেকলাইফের নিজস্ব নয়। এটি সর্ব প্রথম প্রকাশিত হয় http://askislambd.weebly.com

প্রথম পর্ব পড়ুন 


গত পর্বে দেখেয়িছিলাম যে ইদরীস (আঃ)-ই হলেন Hermes Trismegistus । ইদরীস (আঃ) এর লেখাগুলো যে কতটা শক্তিশালী ছিল তা এখনো Corpus Hermeticum পড়লে বুঝা যায় যদিও এই বইটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে।
আমার কাছে Corpus Hermeticum এর ইংরেজী অনুবাদটা আছে, ভাবিনি বইটা এত গভীর পর্যায়ের হবে। যদি আপনার ইসলামী আক্বীদাগত জ্ঞান একেবারেই কম থাকে তাহলে এটা পড়ার দরকার নাই।কারণ এই বইটা হল ক্বুরআনে বর্ণিত Sabianদের ধর্মের নতুনরূপ Hermeticism ধর্মের ধর্মগ্রন্থ। ইদরীস (আঃ) এর নাম ও তাঁর লেখাগুলোকে বিকৃত করায় বড় ভূমিকা পালন করেছে মূলত দুইটা দল । একটা হল মিশরীয়রা আরেকটা হল গ্রিকরা ,রোমানদের ভূমিকাও আছে অবশ্য। আলেক্সজান্ডার দি গ্রেটের দ্বারা মিশর জয়ের মাধ্যমে গ্রিকরা Corpus Hermeticum এর সংস্পর্শে এসেছিল। এরপর তো গ্রিকদের মধ্যে একের পর এক বিজ্ঞানীর জন্ম হতে লাগল।এর উদাহরণ হিসেবে আর্কিমিডিসের কথা বলাই যথেষ্ট।



 মিশরের Alexandria শহরে জন্ম নেয়া আর্কিমিডিসকে আমরা বিজ্ঞানীরূপে দেখছি মূলত ইদরীস ( আঃ) এর শিক্ষার কারণে। একটা শিক্ষিত ও তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে আধুনিক রাজ্য (মিশর) জয়ের মাধ্যমে যে একটা জাতির কতটা উন্নতি হতে পারে সেটা দেখিয়েছিল আলেক্সজান্ডার।


গ্রিকদের স্বভাবই ছিল মহান ব্যক্তিদের নিজেদের গড বা গডের পুত্র বানিয়ে দেয়া।কেন তারা এই পাগলামী করত জানি না তবে মহান ব্যক্তিদের নিজেদের গড বা গডের পুত্র বানিয়ে তারা হয়তো একটা সুবিধা নিত। হয়তো এই কাজ করে ওরা অন্য ধর্মের লোকদের বলত--

" এই বিজ্ঞ ব্যক্তি আমাদের গড/গডের পুত্র । আমাদের গড/গডের পুত্রকে নিয়ে তোমাদের অত গবেষণা করার প্রয়োজন নেই। "
বলতে পারেন এই কাজ করে ওরা বিজ্ঞ ও মহান ব্যক্তিদের নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করত।

গ্রিকরা ইদরীস (আঃ) কে তাদের গড Hermes এর পুত্র বানিয়ে দিয়েছিল। অর্থাৎ এরা বিশ্বাস করত যে Hermes Trismegistus হল তাদের গড Hermes এর পুত্র। ঈসা (আঃ) এর ক্ষেত্রে যে কাজ করা হয়েছিল ঠিক একই কাজও ওরা ইদরীস (আঃ) এর ক্ষেত্রে করেছে , Sabianরাও একই কাজ করে থাকতে পারে।

আসলে গ্রিকদের পূর্বে মিশরীয়রাই ইদরীস (আঃ)-কে গড বানিয়েছিল।মিশরীয়রা ইদরীস (আঃ)কে কিংবা তার বিকৃত নামকে Thoth নাম দিয়েছিল। মিশরীয়দের বিশ্বাস অনুযায়ী Thoth লেখার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন , বিজ্ঞানের উন্নতি করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তারা বিশ্বাস করত Thoth হল 'God of Knowledge and Wisdom' । পূর্বের পোস্টে আমরা দেখেছি যে ইদরীস (আঃ)-ই হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মানুষকে লিখতে শিখিয়েছিলেন এবং তাঁর বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক ধারণা ছিল যা কিনা Thoth এর সাথে মিলে যায়।

এই Thoth এর নাম পরিবর্তন করে ইদরীস (আঃ)-কে গ্রিকরা Hermes নাম দেয়। এর অন্যতম শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৬৫ সালের একটা Inscription এ । এই Inscription এর শেষের দিকে এই বাক্যটা লেখা ছিল--

"Isis , the great goddess , and Thoth, the three times great."

Three Times Great-উপাধির সংক্ষিপ্তরূপ হল Thrice-Great ,গ্রিকদের ভাষায় Trismegistus। এই উপাধিটা গ্রিকদের বইতে যেমন দেখা গিয়েছে তেমনি ইসলামিক স্কলারদের বই যেমন ইবন কাসীরের বইতেও দেখা গিয়েছে।

ইদরীস (আঃ) এর শিষ্যরাও বিকৃতি থেকে রক্ষা পায় নি। যেমন- Asclepious নামে এক শিষ্য ছিল Hermes এর । গ্রিকরা বিশ্বাস করত Asclepious হল তাদের গড Asclepious এর পুত্র।

পরের পর্ব বুঝার জন্য ইদরীস (আঃ) এর লেখার শক্তি সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। Corpus Hermeticum এ জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা কিছুটা ধাঁধার মত করে দেয়া হয়েছে । উপমার সাহায্যে এবং পরোক্ষভাবেও অনেক কথা বলা হয়েছে, বিজ্ঞানের অনেক বিষয় সম্পর্কে অল্প-স্বল্প Hintও দেয়া হয়েছে ।

তাই এই বই নিয়ে গবেষণা করে যারা বড় বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেছেন তারা এই বই থেকে নিংড়িয়ে তথ্য বের করেছেন। জাবির ইবন হাইয়্যান , কোপার্নিকাস , ব্রুনো ,কেপলার , নিউটন এরা সবাই এই বই থেকে তথ্যগুলো নিংড়ে বের করেছেন। তার মানে এই না যে এই বইয়ের Puzzle টাইপের কথাগুলো সব অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।

ধাঁধার একটা বৈশিষ্ট্য হল যে ধাঁধা সমাধান করার জন্য একজন ব্যক্তিকে পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে।এছাড়া এমন ধাঁধাও আছে যা কিনা পাঠককে ভুল সমাধানে দিকে ঠেলে দেয়।একটা সহজ এবং কমন ধাঁধার উদাহরণ দেই--

"লুসির মায়ের তিন সন্তান ,একজনের নাম হল এপ্রিল আরেকজন হল মে। ৩য় সন্তানের নাম কি?"

যারা এই ধাঁধাটা প্রথম দেখছেন তাদের ব্রেনে চট করে 'জুন' নামটা চলে আসবে। কারণ ব্রেন শর্টকার্ট পছন্দ করে আর ধাঁধাটাও উত্তরদাতার ব্রেনকে শর্টকার্ট পদ্ধতিতে যেতে ফোর্স করছে এবং ভুল উত্তর দিতে প্ররোচিত করছে ।কিন্তু যখন উত্তরদাতা আরেকটু চিন্তা করবে তখন সে বুঝবে যে ধাঁধার উত্তর ধাঁধাতেই দেয়া আছে যেটা হল 'লুসি' ।

এখন এই ধাঁধাটা আমি বাংলায় জিজ্ঞেস করলে আপনার ব্রেন এই ডাটা এনালাইস করতে এক ধরনের সময় নিবে আবার আমি যদি এটা ইংরেজীতে করতাম তাহলে দেখা যেত একই ডাটাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার ফলে আপনার ব্রেন ডাটাকে এনালাইস করতে সময় বেশি নিচ্ছে।

এই ধাঁধাটি পাঠককে শুধুমাত্র একটা ভুল উত্তরে যেতে ফোর্স করছে ।এখন কোন ধাঁধা যদি একাধিক ভুল উত্তরের দিকে ফোর্স করে এবং সাথে সাথে সেই ধাঁধার ভাষাটাও যদি অরিজিনাল থেকে বিকৃত হয় তাহলে সেটা সমাধান করতে অনেক কষ্ট হবে এবং নিউটন , কোপার্নিকাস , ব্রুনোদের মত মাথার প্রয়োজন হবে।

যেহেতু Corpus Hermeticum বিকৃত বই তার উপর ধাঁধাগুলো কিংবা উপমাগুলো যদি জটিল হয় তাহলে এই বইয়ের তথ্যগুলো Decode করতে অনেক কষ্ট করতে হবে। অনেকে তো Decoding করতে গিয়ে Corpus Hermeticum এর তাফসীরও লিখেছেন।নিউটনও Emerald Tablet এর তাফসীর লিখেছিলেন।
এখন আমি Hermetic Text এর দুইটা উদাহরণ দিচ্ছি।

প্রথমটা হল-- The Corpus Hermeticum এর Book 2 এর প্রথম অনুচ্ছেদ যেখানে Hermes তাঁর শিষ্য Asclepious এর সাথে Astronomy সম্পর্কে আলোচনা করছেন। এখানে বলা হয়েছে--

H (Hermes) :- Is not everything that is moved , O Asclepius , moved in something and by something ?

A (Asclepious) :- Certainly.

H (Hermes) :- Must not that in which something is moved be greater than what is moved?
A :- It must.

H (Hermes) :- Must not the mover be more powerful than the moved ?

A:- Definitely more powerful.

H:- And Must not that in which movement occurs have a nature opposite to that of the moved?

A:- Yes, Indeed.

এই অনুচ্ছেদে Planetory Motion এর কথা বলা হয়েছে। সূর্য যে গ্রহগুলোকে ঘুরাচ্ছে সেটাই বলা হয়েছে। বেশি কিছু বলছি না, শুধু বলব ভারি বস্তুর Gravitional Pull হালকা বস্তুর থেকে বেশি। আর সূর্য পৃথিবীর থেকে 300,000 গুণ ভারি।এখন আবার আমরা জানতে পেরেছি যে আমাদের সোলার সিস্টেমও 225-250 million সময় নেয় বিশাল বড় Milky Way গ্যালাক্সিকে পরিভ্রমণ করতে।
নিউটন এইরকম ব্যাখ্যাই দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে এই ব্যাখ্যার কারণে তাকে Bentley Paradox এর সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

তৃতীয় পর্ব পড়ুন 




No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages