ইন্টারনেট জগতে একচেটিয়া রাজত্বের পর জীবনের সীমানা পেরিয়ে Google এখন আমাদের অমরত্বের স্বাদ দিতে চায়! - জীবন গড়ি প্রযুক্তির সুরে ♫

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

ইন্টারনেট জগতে একচেটিয়া রাজত্বের পর  জীবনের সীমানা পেরিয়ে Google এখন আমাদের অমরত্বের স্বাদ দিতে চায়!

ইন্টারনেট জগতে একচেটিয়া রাজত্বের পর জীবনের সীমানা পেরিয়ে Google এখন আমাদের অমরত্বের স্বাদ দিতে চায়!

Share This
এবার বিশ্ব বিখ্যাত ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল তার নিজ নামের পরিচিতি অন্যভাবে দেখাতে চায়। গুগল এখন শুধু আর ইন্টারনেট বিজনেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না । বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সীমাহীনতা তাকে যেমন আকর্ষণ করে তেমনি মানব জীবনের সংক্ষিপ্ত আয়ুষ্কাল তাকে ব্যথিত করে। গুগল এখন নিজেকে মানব হিতৈষী কাজে নিয়োজিত করতে চায়। সে লক্ষ্যে গুগল তার চির চেনা নামটির পরি সমাপ্তি টেনে নিজেকে অন্য নামে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এখন গুগল আর একক কোন নাম নয় । এটি এখন এলফাবেট (Alphabet Inc.) নামক কোম্পানীর অঙ্গ্-প্রতিষ্ঠান। আসুন জানি এলফাবেট সম্পর্কে।


Google এখন Alphabet Inc. এর অঙ্গ সংগঠন

গুগল সম্প্রতি নিজেকে Alphabet Inc নামক নতুন কোম্পানীর অধীনে পুনর্গঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং গুগলের সহ-পতিষ্ঠাতা Larry Page এবং Sergey Brin যথাক্রমে এই নতুন কোম্পানীর CEO এবং President হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। গুগল Alphabet Inc এর অংগ বা সহয়োগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে, যার CEO হবেন Sundar Pichai । কো-ফাউন্ডার বলছেন, “Google is not a conventional company. We do not intend to become one.” তাই গুগল শুধু এখন আর পুর্নাঙ্গ কোন কোম্পানী নয়। এটি এখন Alphabet Inc এর অঙ্গ সংগঠন। সহ প্রতিষ্ঠাতাগন(Co-Founders) এখন গুগলকে সার্চ বিজনেসের গন্ডি ছাড়িয়ে একে অন্য স্তরে নিয়ে যেতে চান। একটি ঘোষনায় Larry Page বলছেন, তিনি এবং Sergey নতুন কিছু করার জন্য আন্তরিকভাবে নতুন কাজে নিয়োজিত। 
আর এজন্যই Alphabet এর প্রতিষ্ঠা করা। Alphabet প্রতিষ্ঠা হবে Google, Google X lab, Nest, Calico এবং অন্যান্য উদ্যোগের সমন্বয়ে। Alphabet মুল সত্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। গুগল তার একজন সিইও এর মাধ্যমে তার কাজের জবাব দিহি করবে Alphabet এর নিকট।

Google কেন Alphabet প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী?

Google কে পুনর্গঠনের বিষয়টি জনমনে একটি বিশ্বয়ের জন্ম দিয়েছে এবং তারা এনিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করা নিয়ে ব্যস্ত। আমরা আজ জানব কেন কি উদ্দেশ্য গুগল তার নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। Alphabet প্রতিষ্ঠার পর এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা Larry Page গুগলকে তার প্রথাগত সাচ বিজনেসের বাইরে একে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে সদা উদগ্রীব। কিন্তু কেন গুগল এত ব্যস্ত হয়ে পড়ল? আরে বাবা ঐ যে কথায় বলে না্, সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। আমাদের মত পেটের জ্বালা থাকলে তো আর এসব বুদ্ধি বের হত না। আমরা যখন কোন তৃতীয় বিশ্বের এঁদো গলিতে বসে ক্ষুধার জ্বালায় কাতরাচ্ছি, তখন তারা চাঁদে বাড়ি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি এটা হয়ত বা সকলেরই জানা যে, গুগল এখন মরন ব্যাধি ক্যানসার ও ডায়াবেটিস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে এবং এ লক্ষ্যে তার বেশ কটি হেলথ-প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। Alphabet এর প্রতিষ্ঠার পর গুগল তার এই প্রজেক্টকে শুধু এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়না সে এখন হাত বাড়াতে চায় অমরত্বের পানে, অর্থাৎ কিভাবে মানুষের বয়স টাকে থামিয়ে দেয়া যায় তার উপর। গুগল তার সমস্ত গবেষেনা ও কর্ম একটি প্লাটফরমের তদারকির জন্যই এই Alphabet এর পত্তন করেছে। Alphabet এর ভবিষ্যত পরিকল্পনার একটি বড় অংশ হল হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট এবং সাই-ফাই-প্রজেক্ট যার উদ্দেশ্য হল ক্যানসার ও ডায়াবেটিস এর মত অন্যান্য মারাত্বক রোগ হতে মুক্তি ও মৃত্যুকে অস্বীকার করা। কী অবাক হলেন? হ্যা সম্প্রতি গুগল এ উচ্চাভিলাসী ও অবাস্তব এবং অকল্পনীয় প্রকল্প হাতে নিয়েছে যার উদ্দেশ্য বয়সকে বাড়তে না দেওয়া! আপনার হয়ত শুনে থাকবেন, রক্তে সুগার লেভেল মনিটরিং করার জন্য Google X’s cancer treating pills এবং স্মার্ট লেন্স এর কথা।


 এসকল উচ্চাভিলাসী প্রজেক্টের পেছনে তাড়া করে ফেরাটা এখন গুগলের নিকট বড় কোন অর্থ বহন করেনা তারা এখন এটিকে অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে চান পৃথিবীর আর কেউ করে দেখানোর সাহস পর্যন্ত করেনি। তারা এখন বার্ধক্য জনিত রোগ (Alzheimers and Parkinsons) কে টার্গেট আমাদের জীবন আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এগুলোর ওষধ প্রস্তুতের চিন্তা করছে। Google’s cancer detecting pill আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহে নানো পার্টিকেল প্রবেশ করিয়ে সেখান হতে ক্যানসার সংঘটনকারী সেল সমুহ ডিটেক্টকরবে এবং সে তথ্য একটি হাতে ব্যবহার করা একধরনের ডিভাইসে পাঠাবে।
কী ! আপনি নিশ্চয় ভাবছেন, রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা! এই বোধ হয় গুগলের দৌড়। কিন্তু না আপনার ধারনা পুরো ভুল। বয়সকে থামিয়ে দেওয়ার বাইরে গুগল আর ও কি্ছু করতে চায়। এজন্য গুগল নাম না জানা ১০,০০০ জন মানুষের জেনেটিক ইনফরমেশন সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছে? যা হয়ত বা আমাদের কোন এক সময় সুস্থ ও নিরোগ মানুষের সন্ধান দেবে। আমরা পাব অমরত্বের স্বাধ। কি? কি ভাবছেন? কি বলছে বিজ্ঞান আর কি বলছে আমাদের শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। কত দ্রুত আমরা আমাদের প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মদ (স) ভবিষ্যত বানীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি! তবে সে দিন কি আর দুরে নয়! আপাতত কি আর করার? আমরাও আর দশটা সাধারন মানুষের মত সেই দিনের অপেক্ষায়। ভাল থাকবেন সবাই অাল্লাহ হাফেজ।

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages